জাকসুর ভোট ছাড়াই উপাচার্য নির্বাচন বৈধ!

জাকসুর ভোট ছাড়াই উপাচার্য নির্বাচন বৈধ!

জাবি প্রতিনিধি:-
জাকসুর পাঁচজন সদস্যের ভোট ছাড়াই উপাচার্য নির্বাচন বৈধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিনেট সদস্যদের মুখপাত্র , সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির।  বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন জাকসু নির্বাচন দেয় না বলেইতো সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি থাকেনা। আমরা সবসমই জাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি এবং আজকের ১২দফাতেও জাকসুর দাবি আছে। তবে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকলেও সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতেছে বিধায় উপাচার্য নির্বাচন অবৈধ হবেনা।  সোমবার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘উপাচার্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক উপাচার্য এসব কথা বলেন।
জাকসুর ভোট ছাড়াই উপাচার্য নির্বাচন বৈধ!এর আগে সিনেট সদস্যবৃন্দের ব্যানারে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ ১২ দফা দাবিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন করেছেন। সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ সমুন্নত রাখার স্বার্থে দ্রুত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন দেয়ার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হন সিনেটররা।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাসী, এ ধারা অনুসরণ করতে সবাই বদ্ধপরিকর এবং এই ধারা বাধাগ্রস্ত হলে তা প্রতিহত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ২৩ জানুয়ারি আমরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাত করে ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ সমুন্নত রাখার স্বার্থে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ ১২ দফা দাবি পেশ করি। তিনি এ দাবিগুলো আমলে না নিয়ে দাবিগুলো সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করেন। এছাড়াও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১১(১) ও ১১(২) ধারার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
উপাচার্যের কাছে উপস্থাপিত ১২ দফা দাবি নি¤œরুপঃ-
১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, স্বচ্ছতার স্বার্থে পরবর্তী মেয়াদে উপাচার্য না আসা পর্যন্ত যেকোন নতুন, এডহক, মাস্টাররোল ও দৈনিক নিয়োগ বন্ধ রাখা, বিশেষ বিবেচনায় বাসা বরাদ্দ বন্ধ রাখা, সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন, জাকসু পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করা, নবীণ শিক্ষার্থীরদের উপর র‌্যাগিং নামক যে নিপীড়ন চালানো হয় তা নির্মূলের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, আবাসন সমস্যার সমাধান করা, লাইব্রেরীর সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা, মেডিক্যাল সেন্টার সংলগ্ন সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য সংরক্ষণে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল বহিরাগত ও অনিরাপদ যানবহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment